নারীর পাঁজরের হাড় পুরুষের চাইতে একটি কম
এটিও একটি ভুল ধারণা, নারী ও পুরুষ দেহে সমান সমান পাঁজরের হাড় থাকে।
নারী দেহে লোম থাকে না
অসংখ্য পুরুষ মনে করেন সুন্দরী নারীদের দেহে লোম থাকে না, তারা লোম ছাড়াও জন্মগ্রহণ করে থাকেন। অন্যদিকে যেসব নারীদের দেহে লোম আছে, তারা কুৎসিত বা ‘পুরুষ পুরুষ’ ভাব সম্পন্ন। সত্য হচ্ছে, লোম সকলের দেহেই থাকে।
ধর্ষণ নারী উপভোগ করে
অসংখ্য পুরুষ এটাই মনে করে যে নারীরা মনে মনে ধর্ষণ কামনা করেন এবং ধর্ষণ ইচ্ছা থেকেই সাজসজ্জা করে থাকেন। এটি অত্যন্ত কুৎসিত একটি ভুল ধারণা। ধর্ষণ নারীর জন্য সবচাইতে ভয়াবহ একটি ব্যাপার এবং কোন পরিস্থিতিতেই কোন নারী ধর্ষণ উপভোগ করেন না।
স্তন মাতৃদুগ্ধে পূর্ণ থাকে
না, কোন নারীই মাতৃদুগ্ধে পূর্ণ স্তন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। সন্তান জন্মদানের পর স্তনে মাতৃদুগ্ধ উৎপাদন শুরু হয়।
পিরিয়ড শুরু হয়েছে মানেই যৌন সম্পর্কের জন্য তৈরি
একজন বালিকার পিরিয়ড শুরু হয়েছে মানেই সে যুবতী নয় এবং যৌন সম্পর্কের জন্য তৈরি নয়। পিরিয়ড খুব স্বাভাবিক একটি শরীরবৃত্তীয় ব্যাপার, সাধারণত ১২ থেকে ১৫ বছরের মাঝেই বালিকা দেহে পিরিয়ড উপস্থিত হয়, কারো ক্ষেত্রে আরও আগে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে পিরিয়ড হয়েছে বলেই ছোট কিশোরী মেয়েটি বিয়ে বা যৌন সম্পর্কের জন্য তৈরি।
মেনোপজ কেবলই নারীর হয়
নারীর একার নয়, মেনোপজ পুরুষেরও হয়। মেনোপজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যৌনতায় অনাগ্রহ ইত্যাদি সকল ব্যাপার পুরুষের জীবনেও উপস্থিত হয়।
নারীর ব্লাডার পুরুষের তুলনায় ছোট হয়
পুরুষের তুলনায় নারীরা টয়লেট বেশি ব্যবহার করেন, এর অর্থ এই নয় যে নারীর ব্লাডার পুরুষের চাইতে ছোট।
পিরিয়ডে কষ্ট হয় না
কেবল তাই নয়, অনেক পুরুষ এটাও মনে করেন যে পৃথিবীর সমস্ত নারীর পিরিয়ড একই দিনে হয়। দুটিই অত্যন্ত ভুল ধারণা।
সন্তান জন্ম দেয়া এমন কোন ব্যাপার নয়
এটির চাইতে ভুল ধারণা আর হতেই পারে না। সন্তান জন্ম দেয়া নারীর জন্য অসম্ভব কষ্টকর একটি প্রক্রিয়া। অসংখ্য শারীরিক পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে যেতে হয় একজন নারীকে যা অত্যন্ত কষ্টকর। স্বাভাবিক নিয়মে ডেলিভারি হোক বা সি সেকশন, দুটিই সমান। কেবল শারীরিক কষ্ট নয়, সন্তান জন্ম দেয়ার সময়ে নানান রকমের মানসিক পরিবর্তন আসে। ডিপ্রেশন দেখা দেয়। সন্তান জন্মের আগে ও পরে যে কোন নারীরই চাই অনেক বেশি বাড়তি যত্ন।